Hit enter after type your search item

মাউস কি | মাউস কাকে বলে | মাউস এর কাজ কি | মাউস কোন ধরনের ডিভাইস?

/
/
/
221 Views

আমরা প্রায় সকলেই কম্পিউটার ব্যবহার করি। কম্পিউটারকে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করি। এর মধ্যে মাউস একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। আজকের আর্টিকেলে আমরা মাউস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মাউস

মাউস কি?

মাউস হলো কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। এটির সাহায্যে পয়েন্টার নিয়ন্ত্রণ করে কম্পিউটারকে ইনপুট দেওয়া হয়। মাউসকে পয়েন্টার ডিভাইসও বলা হয়। কম্পিউটারের কোন আইটেম বেছে নেওয়া, ফাইল খোলা ও বন্ধ করা, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো – এই সব কাজেই মাউস ব্যবহার করা হয়।

মাউস কে আবিষ্কার করেন?

১৯৬৮ সালে ডগলাস সি. এঙ্গেলবার্ট মাউস আবিষ্কার করেন। তিনি পেশায় একজন সৈনিক ছিলেন।

মাউস কিভাবে কাজ করে?

মাউসের নিচে একটি বল বা অপটিক্যাল সেন্সর থাকে। মাউস টেবিলের উপর ঘুরালে, বল বা সেন্সর নড়াচড়া অনুধাবন করে এবং সেই অনুযায়ী কম্পিউটার স্ক্রিনের পয়েন্টার নড়াচড়া করে।

মাউসের বিভিন্ন অংশ

  • বল: মাউসের নিচে থাকা একটি ছোট্ট বল। মাউস টেবিলের উপর ঘুরালে বল ঘোরে এবং সেই অনুযায়ী পয়েন্টার নড়াচড়া করে।
  • বাম বাটন: মাউসের বাম পাশে থাকা বোতাম। এটি ক্লিক করার মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করা যায়, যেমন কোন আইটেম বেছে নেওয়া, ফাইল খোলা ইত্যাদি।
  • ডান বাটন: মাউসের ডান পাশে থাকা বোতাম। এটি ক্লিক করার মাধ্যমে বিভিন্ন মেনু খোলা যায়।
  • স্ক্রোল চাকা: মাউসের মাঝখানে থাকা একটি চাকা। এটি ঘুরিয়ে পেজ স্ক্রোল করা যায়।

মাউসের ব্যবহার

  • পয়েন্ট করা: মাউস টেবিলের উপর ঘুরিয়ে কম্পিউটার স্ক্রিনের যেকোনো জায়গায় পয়েন্ট করা যায়।
  • ক্লিক করা: বাম বাটন ক্লিক করে বিভিন্ন কাজ করা যায়, যেমন কোন আইটেম বেছে নেওয়া, ফাইল খোলা ইত্যাদি।
  • ডাবল ক্লিক: বাম বাটন দ্রুত দুবার ক্লিক করে ফাইল বা অ্যাপ্লিকেশন খোলা যায়।
  • ড্র্যাগ করা: বাম বাটন চেপে ধরে কোন আইটেম টেনে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
  • স্ক্রোল করা: স্ক্রোল চাকা ঘুরিয়ে পেজ স্ক্রোল করা যায়।

মাউসের বিভিন্ন প্রকার (চলমান)

  • মেকানিক্যাল মাউস: এই ধরনের মাউসের নিচে একটি বল থাকে। মাউস টেবিলের উপর ঘুরালে বল ঘোরে এবং সেই অনুযায়ী পয়েন্টার নড়াচড়া করে।
  • অপটিক্যাল মাউস: এই ধরনের মাউসের নিচে একটি LED এবং একটি সেন্সর থাকে। মাউস টেবিলের উপর ঘুরালে LED লাইট প্রতিফলিত হয় এবং সেন্সর সেই লাইট বিশ্লেষণ করে পয়েন্টার নড়াচড়া করে।
  • ওয়্যারলেস মাউস: এই ধরনের মাউসে কোন তার থাকে না। এটি রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
  • ট্র্যাকবল মাউস: এই ধরনের মাউসের উপরে একটি বল থাকে। মাউস নাড়ানোর পরিবর্তে বলটি ঘুরিয়ে পয়েন্টার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • স্টিলাস মাউস: এই ধরনের মাউস দেখতে পেনের মতো। এটি টাচস্ক্রিন ডিভাইসের জন্য ব্যবহার করা হয়।

মাউসের যত্ন

মাউসের দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য এটির যত্ন নেওয়া জরুরি। মাউসের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় হলো:

  • মাউস পরিষ্কার রাখা: মাউস নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা উচিত। ধুলোবালি এবং ময়লা মাউসের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
  • মাউসের তার (যদি থাকে) সাবধানে ব্যবহার করা: মাউসের তার টানা বা মোড়ানো উচিত নয়।
  • মাউসের উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া: মাউসের বোতামগুলোতে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া উচিত নয়।
  • মাউসকে আঘাত থেকে রক্ষা করা: মাউসকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করা উচিত।

মাউস কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। মাউসের যথাযথ ব্যবহার এবং যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে এর দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This div height required for enabling the sticky sidebar