অনলাইন জিডি কিভাবে করতে হয়
অনেক সময় আমাদের হারানো জিনিসপত্র, মুঠোফোন বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসের জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হয়। আগে এই কাজ করতে সরাসরি থানায় যেতে হতো, তবে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ অনলাইন জিডির সুবিধা চালু করেছে।
এই ব্লগে অনলাইন জিডি করার বিস্তারিত ধাপ নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা আপনার জিডি প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলবে।
জিডি কি?
জিডি বা সাধারণ ডায়েরি হলো পুলিশের কাছে করা একটি সাধারণ অভিযোগ বা তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়া। এটি মূলত এমন তথ্য লিপিবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যার জন্য কোনো মামলার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত হারানো জিনিসপত্র বা সন্দেহজনক ঘটনা নিয়ে জিডি করা হয়।
আর পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ১০টি অনলাইন স্কিন কেয়ার ও কসমেটিক্স শপ
কেন জিডি করা হয়?
জিডি করা হয় মূলত কোনো বিষয়কে নথিভুক্ত করার জন্য। এটি আইনি প্রক্রিয়া না হলেও, পরবর্তীতে কোনো আইনি কার্যক্রম বা তদন্তের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। হারানো জিনিসপত্র, মূল্যবান নথি, কিংবা অপরাধমূলক ঘটনার জন্য প্রমাণ হিসেবে জিডি কাজে আসে।
কিছু সাধারণ কারণ যা জন্য জিডি করা হয়:
- হারানো মুঠোফোন, পরিচয়পত্র, অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স
- সন্দেহজনক ঘটনা, হুমকি বা নিরাপত্তা ঝুঁকি
- সামাজিকভাবে বিরক্তিকর কোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিতকরণ
অনলাইন জিডি করার সুবিধা
অনলাইনে জিডি করা থানায় গিয়ে জিডি করার চেয়ে অনেক সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী। যে কোনো স্থান থেকে আপনি নিজেই ঘরে বসে সহজেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি করতে পারবেন।
কীভাবে অনলাইনে জিডি করবেন?
১. প্রথম ধাপ: নিবন্ধন ও প্রাথমিক তথ্য প্রথমে gd.police.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর, মুঠোফোন নম্বর ও জন্মতারিখ প্রদান করতে হবে। এই তথ্যগুলো সাবমিট করার পর একটি যাচাইকরণ কোড আপনার ফোনে পাঠানো হবে, যা সিস্টেমে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন।
২. দ্বিতীয় ধাপ: জিডির ধরন ও স্থান নির্বাচন এবার আপনার কাছে দুটি অপশন আসবে—নিজের জন্য জিডি করবেন নাকি অন্যের পক্ষে করবেন। এরপর, জিডির ধরন নির্বাচন করতে হবে, যেমন হারানো, প্রাপ্তি ইত্যাদি। এরপর কোন জেলার কোন থানায় এই জিডি করতে চান, তা নির্ধারণ করতে হবে। ঘটনার সময় এবং স্থান উল্লেখ করার পর ‘পরবর্তী ধাপ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩. তৃতীয় ধাপ: ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এই ধাপে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ লিখতে হবে। যদি কোনো ডকুমেন্ট থাকে, তবে তা এখানে সংযুক্ত করার সুযোগ থাকবে। একটি কার্যকর ইমেইল ঠিকানা প্রদান করতে হবে, যা দিয়ে পরবর্তীতে জিডির আপডেট পেতে সুবিধা হবে। সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করলে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
জিডি করার পরবর্তী পদক্ষেপ
আবেদন জমা হওয়ার পর আপনি অনলাইনে লগইন করে জিডির সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
ধন্যবাদ! এই পোস্টটি টেকবাংলা ইনফো এর পাঠকদের জন্য। অনলাইন সেবা সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।